হাসপাতাল বলতে এক ধরণের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়। বর্তমানে হাসপাতাল বলতে এমন প্রতিষ্ঠানকে বোঝায় যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ ও সেবাকর্মীগণ প্রয়োজনীয় উপকরণের মাধ্যমে রোগীদের সেবা প্রদান করেন। অনেক সময়েই হাসপাতালে রোগীর দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য আবাসিক শয্যার ব্যবস্থাও থাকে। হাসপাতালসমূহ সরকারী, বেসরকারী (দাতব্য কিংবা মূনাফাভিত্তিক) অথবা বীমা প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হতে পারে। প্রাচীনকালে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ হাসপাতাল পরিচালনার কাজে নিয়মিত নিয়োজিত থাকতেন।
রোগ মানুষের স্বভাবাবিক জীবনকে মারাত্মকভাবে ব্যহত করে অসহায় করে তোলে। দূর্দশাগ্রস্ত দরিদ্র রোগীদের জন্য অসুস্থতা বিষয়টি চরম অসহনীয়। রোগগ্রস্ত দরিদ্র মানুষকে তাদের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল সমাজকর্মের গুরুত্ব ও কার্যকারিতা অপরিসীম। হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র অসহায় রোগীদের মানসিক, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, অসুস্থ্যতা বিষয়ক বিভিন্ন সহায়তার পাশাপাশি ও রোগীর সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে রোগীর রোগমুক্তির জন্য চিকিৎসক, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও সহায়তা করা হয়। রোগীর মানসিক শক্তি বৃদ্ধি, চিকিৎসার ব্যয় বহন, চিকিৎসককে রোগীর রোগ ও রোগের কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য প্রদান এবং চিকিৎসা শেষে তার পুনর্বাসনের জন্য সহায়তা প্রদান করা হয়। ১৯৫৯ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই সেবা প্রথম চালু হয় এবং বর্তমানে দেশব্যাপী সিটি কর্পোরেশন ও জেলা পর্যায়ের ৯০টি সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে সেবা কার্যক্রম চালু আছে। এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে ৩৪২টি উপজেলায় উপজেলা রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে এ কার্যক্রমটি সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
সেবা
সেবা প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় সময়
কর্ম দিবসের সকাল ৮টা হতে দুপুর ২টা ৩০মি:
প্রয়োজনীয় ফি/ট্যাক্স/আনুষঙ্গিক খরচ
হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়
সংশ্লিষ্ট আইন/বিধি/ নীতিমালা
সেবা গ্রহীতা
হাসপাতালে আগত অসহায়, দরিদ্র বা দুস্থ রোগী
কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ
সমাজসেবা অধিদফতরের কার্যক্রম শাখা এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করে থাকে। পরিচালক (কার্যক্রম) এর নেতৃত্বে সদর দপ্তর পর্যায়ে এবং মাঠপর্যায়ে ৮৯ জন হাসপাতাল সমাজসেবা অফিসার এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার উপজেলা রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্যসচিব হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সস্পৃক্ত রয়েছেন। জেলা পর্যায়ের ৬৪টি জন উপ-পরিচালক ও ২২ জন সহকারী পরিচালক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম তদারকি এবং মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। মাঠ পর্যায়ে রোগী কল্যাণ সমিতি কার্যক্রম বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সমাজসেবা অফিসার ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান/প্রেসিডেন্ট/সভাপতি/নির্বাহী পরিচালক/স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির যথাক্রমে সদস্য-সচিব ও সভাপতি হিসেবে কাজ করেন।
সেবাদান কেন্দ্র
কার্যাবলি
নাগরিকদের সহযোগিতার ক্ষেত্র
সেবা প্রদানের সময়সীমা
রোগী চিহ্নিত হওয়া বা রোগী আবেদন করার পর তাৎক্ষণিক ভাবে।
যার সাথে যোগাযোগ করতে হবে
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস